বাংলাদেশে প্রতিবন্ধিতা নিয়ে সচেতনতা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে, তবুও সাধারণ মানুষের মনে এখনো অনেক প্রশ্ন থাকে—প্রতিবন্ধী কত প্রকার এবং কীভাবে এই শ্রেণিবিভাগ করা হয়। এই বিষয়টি পরিষ্কারভাবে বোঝা শুধুমাত্র গবেষণা বা নীতিনির্ধারণের জন্য নয়, বরং প্রতিদিনের জীবনে সবার প্রতি সঠিক আচরণ ও সহমর্মিতা প্রদর্শনের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই অনেকেই ফোরাম বা সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে আলোচনা করে থাকেন, যেন সবাই বিষয়টি সহজ ভাষায় জানতে পারে।
প্রতিবন্ধিতা সাধারণভাবে শারীরিক, মানসিক, বুদ্ধিবৃত্তিক ও বক্তৃতাগত সীমাবদ্ধতার ভিত্তিতে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। কারও শরীরের কিছু অংশ স্বাভাবিকভাবে কাজ না করলে তাকে শারীরিক প্রতিবন্ধী বলা হয়। আবার কেউ যদি মানসিক রোগ, অটিজম, আচরণগত সমস্যা বা আবেগ নিয়ন্ত্রণে সমস্যার মতো মানসিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক সীমাবদ্ধতায় ভোগেন, তবে তাঁকে মানসিক বা বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিবন্ধী ধরা হয়। এছাড়া যারা দৃষ্টি, শ্রবণ বা বাক প্রতিবন্ধিতায় ভোগেন, তাঁরাও পৃথক শ্রেণিতে রাখা হয়। এর প্রত্যেকটি ধরনের আলাদা আলাদা চ্যালেঞ্জ থাকে, এবং প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিশেষ সহায়তা ও পুনর্বাসন প্রয়োজন হতে পারে।
অনেকেই মনে করেন, প্রতিবন্ধিতা মানেই শুধুই শারীরিক সমস্যা, কিন্তু বাস্তবে মানসিক প্রতিবন্ধিতার হারও কম নয়। অটিজম, সেরিব্রাল পালসি, ডাউন সিনড্রোম বা লার্নিং ডিসঅ্যাবিলিটি—সবই মানসিক বা বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিবন্ধিতার আওতায় পড়ে। এসব ক্ষেত্রে সচেতনতা, বিশেষ শিক্ষা, থেরাপি ও পরিবার–সমর্থন অত্যন্ত প্রয়োজন। একইভাবে দৃষ্টি বা শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য আলাদা উপযোগী শিক্ষা ও প্রযুক্তি ব্যবহারের ব্যবস্থা প্রয়োজন, যাতে তারা স্বাভাবিক জীবনে এগিয়ে যেতে পারে।





